রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৮ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: জামাই-শাশুড়ীর অনৈতিক প্রেমের কারণে জামাই তালাক দিয়েছিল তার স্ত্রীকে আর শাশুড়ী তালাক দিয়েছিল তার স্বামীকে। অত:পর জামাই ও শাশুড়ী বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে স্বামী স্ত্রী হিসেবে বসবাস করত নগরীর সিএন্ডবি এলাকায়। ২৬ আগস্ট (জামাই)স্বামীরও রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য (শাশুড়ী) স্ত্রী ও তার সন্তানকে থানায় নিয়ে আসে। ঘটনাটি ঘটেছে নগরীর সিএন্ডবি রোডস্থ মসজিদ সড়কে। মৃত ব্যাক্তির নাম মাসুম খান (৩৩)।
কোতয়ালী থানার ডিউটি অফিসার এএসআই মহসিন জানান, এই ঘটনাটি রহস্যজনক বিধায় মৃতের স্ত্রী জাকিয়া বেগম ও তার ছেলে রাবিক গাজীকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ওদিকে কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূরুল ইসলাম জানান, আমরা শুনেছি মৃত মাসুম খানের সাথে তার শাশুড়ীর অনৈতিক সর্ম্পক ছিল। এ নিয়ে পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই অসন্তোষ চলছিল। তারপর এই মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটায় রহস্যজনক মনে করে লাশ পরিবারের লোকজন হাসপাতাল থেকে নিয়ে গেলেও পরে পুলিশ তা উদ্ধার করে পোর্স্টমর্টেমের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে।
স্থানীয়ভাবে জানা গেছে, কয়েক বছর পূর্বে জাকিয়া বেগমের মেয়ে তানজিলা আক্তারের সাথে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে হয় মাসুমের। কিন্তু মাসুম ও তার শাশুড়ী জাকিয়া পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পরেন। পরে মাসুম জাকিয়ার মেয়ে তানজিলাকে তালাক দেয়। ওদিকে জাকিয়া তালাক দিয়েছিল তার স্বামী তানজিলার পিতা ও মাসুমের শশুড় আবু গাজীকে। এরপর পরকীয়া প্রেমিক মাসুমকে বিয়ে করে একসাথে বসবাস শুরু করেন তারা। কিন্তু ২৬ আগস্ট রোববার মাসুমের মৃত্যুর ঘটনা এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, পরকিয়া প্রেমের কারনে পরিবারের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে মাসুমকে মারতে পারে। তবে ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মাইনুল জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তে পরকিয়ার বিষয়টি স্পষ্ট নয়। আটক জাকিয়ার পুত্র রাকিবের বরাত দিয়ে মাইনুল আরও জানায়, তানজিলাকে তার স্বামী মাসুম তালাক দেয়নি। তবে তালাকের প্রক্রিয়া চলছিল। তানজিলাকে তালাক দেওয়ার কথা বললেও তার শাশুড়ী জাকিয়ার বাসায় এসে থাকতো মাসুম।
Leave a Reply